আমি এমন এক সময়ে বড় হয়েছি যখন রাজপথের দেওয়ালে দেওয়ালে লেখা থাকতো বামফ্রন্টের একমাত্র বিকল্প উন্নততর বামফ্রন্ট। আর তার সাথে থাকতো গণশক্তি পড়া ও পড়ানোর অনুরোধ(?) । সেসব এখন অতীত। পাঁচতলা মল, পুরোটাই চটি। তবে এই গোটা সফরে, কলকাতার মধ্যবিত্ত বাঙালির “রাজনীতি করেই ছাত্ররা নিজের ভবিষ্যতের বারোটা বাজাচ্ছে” থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ে “সবই আসলে রাজনীতি” পার করে অর্থনীতি ও ইতিহাসে খানিক ঔৎসুক্য দেখানোর সুবাদে এইটুকু বুঝেছি যে ক্ষমতা দখলের লড়াই জাতীয় সংগ্রামের উর্দ্ধে চলে গেলে সে বড়ো ভয়ানক বিপর্যয় ঘটায়। বিগত যুগে সে সংগ্রাম (হ্যাঁ, বাঙালিরই সংগ্রাম) এর কিছু পর্যায় শেষ হয়েছে ১৯৪৭ এ, আরেক পর্যায় ১৯৭১ এ। তাই বাঙালির জাতীয় সংগ্রাম এর স্বার্থে, ভোট দিন। কাকে ভোট দেবেন আপনার ইচ্ছে, কিন্তু ভোট দিন। পশ্চিমবঙ্গের জনগণ ভীষণ রকম রাজনীতি সচেতন। ঘুরিয়ে বললে, সবই যে আসলে রাজনীতি সেটা পশ্চিমবঙ্গবাসী খুব ভালো করেই বোঝেন। পশ্চিমবঙ্গের ভোট দেওয়া জনগণের সংখ্যা দেশের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ। দেখুনঃ https://www.oneindia.com/lok-sabha-election-2019-voting…/ তাই ভোট এর ফলাফলে তার প্রভাব দেখা অত্যন্ত জরুরী। ফেসবুক বা হোয়াটস অ্যাপ এ নিজের মতামত জানান, কিন্তু তার সাথে দায়িত্ব নিয়ে ভোট টাও দিন। আর আমায় যদি বলেন, এই বাঙালি বিরোধী স্বৈরাচারী দলটিকে একটিও ভোট নয়। #novotetobjp চিত্রগ্রহণের স্থানঃ দমদম মেট্রো স্টেশন