কোলকাতার লোকজনের রসবোধ এত বেড়ে গেছে কী বলব আর?
মিষ্টির দোকানে মিষ্টি কিনতে গেছি। এক ভদ্রলোক এসে জিজ্ঞেস করছেন, “এই, মোহনভোগ ভালো হবে?” ভাবখানা এমন যেন দোকানদার বলবে, “ না দাদা, মোহনভোগটা বাসি, আপনি বরং জিবেগজা কি ছানার জিলিপি দেখুন” দোকানদার ও আরেক কাঠি উপরে। সে প্রথমে উত্তরই দিলো না। মানে এ আর জিজ্ঞেস করার কী আছে? আমার দোকানের জিনিষ তো ভালোই হয়ে থাকে। খদ্দের ভদ্রলোক খানিক অপেক্ষা করে আবার জিজ্ঞেস করলেনঃ দাদা, মোহনভোগ ভালো হবে? দোকানদার পাশে দাঁড়িপাল্লায় মাখা সন্দেশ ওজন করতে করতে গম্ভীর গলায় উত্তর দিলোঃ মিষ্টি হবে। খদ্দেরবাবু গজগজ করতে করতে পালিয়ে গেলেনঃ এ আবার কী রে বাবা? মিষ্টি তো মিষ্টি ই হবে ইত্যাদি ইত্যাদি
বোম্বাই এর লোকের জন্য মিষ্টি প্যাক করানো হচ্ছে। মানে আপিসের জনগণের জন্য মিষ্টি আনার রেওয়াজ থাকে কলকেতা এলে। তাই সময় লাগছে। এর মধ্যে আরেক মহিলা এলেন। “হ্যাঁ বাবা, রসগোল্লা কত করে?” বাবার সংক্ষিপ্ত উত্তরঃ ৬ টাকা, ১০ টাকা। মাসিমা বললেনঃ কই ৬ টাকার গুলো দেখি। বাবা দোকানে উঠে এসে ফ্রিজের পেছনদিকে দেখতে বললেন। সেখানে নাকি দুটো বালতি রাখা আছে ৬ টাকার রসগোল্লার। খানিক দেখে টেখে মাসিমা অনুযোগের সুরে, “বাবা এএএতো ছোট কেন ৬ টাকার গুলো?” দোকানদারঃ “হ্যাঁ বলেছি। ৬ টাকায় আরও বড় বড় রসগোল্লা বানাতে বলেছি। কদিন পরেই আসবে”
মাসিমা কোন কথা না বলে কেটে পড়লেন। দোকানদার আমার দিকে তাকিয়েঃ সকাল থেকে ৩ বার ঘুরে গেছে। কী ভাবছে কে জানে? রসগোল্লা এর মধ্যে খেয়ে দেয়ে বড় হয়ে যাবে?
আমি খুব চাপ টাপ নিয়ে হাসি চেপে বললামঃ কত হয়েছে দাদা?